মুক্ত স্বদেশ ডেস্ক :
২০১১ বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে শিরোপা জয় করে ভারত। কিন্তু পঞ্চাশ ওভারী ক্রিকেট শ্রেষ্ঠত্বের পরের দুই আসরে সেমি-ফাইনালেই বাদ পড়তে হয়েছে টিম ব্লুজদের।
শেষ ২০১৯ বিশ্বকাপের নক-আউট পর্বের ম্যাচে কিউইদের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারলেও ২০১৫ সালে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার কাছে একরকম উড়ে যায় ধোনির দল।
অজিরা প্রথমে ব্যাট করে দাঁড় করায় ৩২৮ রানের সংগ্রহ। জবাবে ভারত অল-আউট হয় মাত্র ২৩৩ রানে। সেই ম্যাচে ১০ ওভার বল করে ৬৮ রান দিয়ে উইকেট-শূন্য ছিলেন মোহাম্মদ শামি।
অথচ হাঁটুর চোট নিয়েও গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে ব্যাটসম্যানদের ভুগিয়েছিলেন তিনি, নিয়েছিলেন ৬ ম্যাচে ১৭ উইকেট। সেই ম্যাচের পর কেটে গেছে পাঁচ বছর। তবে শোক ভুলতে পারেননি শামি। ইন্সটাগ্রাম লাইভে এই পেস তারকা শোনালেন তার পুরনো ক্ষতর গল্প।
‘প্রথম ম্যাচেই হাঁটু ভাঙে আমার। গোটা বিশ্বকাপ জুড়েই আমার হাঁটুর চোট এতটাই ছিল যে ম্যাচের পর আমি হাটতে পারতাম না। হাঁটু ফুলে প্রায় ঊরুর মতো মোটা হয়ে যায়। হাঁটু থেকে পানি বের করতে হতো প্রতিদিন। তিনটি করে ব্যথানাশক ওষুধ খেতে হতো।’
পরে অবস্থা চলে যায় সহ্যের বাইরে। এমনকি শামি খেলতে চাননি সেমি-ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। যদিও পরে মহেন্দ্র সিং ধোনির অনুপ্রেরণায় মাঠে নামেন তিনি।
সেমিফাইনালের দিন অনেক ব্যথা ছিল। ম্যাচের আগে আমি সবাইকে বলেছিলাম, আমি আর নিতে পারছি না। তবে ম্যানেজমেন্ট বলেছে ঠিক হয়ে যাবে। ওরা বলেছে, ম্যাচটা সেমিফাইনাল, নতুন কাউকে নেওয়া যাবে না। মাহি ভাই আমাকে অনেক আত্মবিশ্বাস দিয়েছে।