মাহবুব আলম প্রিয়, রূপগঞ্জ :
বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা থাকলেও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাউছিয়া মৎস্য আড়তে কেউই এ নির্দেশনা মানছেন না। প্রতিদিন ভোর থেকে শুরু হয় এ মাছের আড়ৎ।
যেখানে ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর, রাজশাহী, কিশোরগঞ্জ, ভৈরব, নরসিংদীসহ বিভিন্ন জেলার পাইকাররা আসেন মাছ কেনা-বেচা করতে। এখান থেকে করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।
আড়ৎ সভাপতি নিবাস চন্দ্র দাস স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এই দেশে মহামারির মধ্যেই তার নিজের লাভের জন্য এই মৎস্য আড়ৎটি পরিচালনা করে আসছেন। স্থানীয়রা কেউ কিছু বলতে গেলে তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে থাকেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা মৎস্য আড়তে মাছ কেনা- বেচার জন্য আসেন, আড়তের মধ্যে নেই কোনো হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, অন্য জেলা থেকে যারা আসেন তারা মাস্ক ব্যবহার করেন না। শুধু তাই নয়, স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীরাও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন না।
স্থানীয় আরও অনেকে জানান, মৎস্য আড়ৎ কমিটির সভাপতি নিবাস চন্দ্র দাসকে একাধিকবার বলেও কোনো লাভ হয়নি। উপজেলা প্রশাসন আড়ৎ কমিটির সভাপতিকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আড়ৎ পরিচালনার নির্দেশ দিলেও সেই নির্দেশ অমান্য করে নিজের ইচ্ছে মতো জনসমাগম করে প্রভাব কাটিয়ে মৎস্য আড়ৎটি পরিচালনা করে আসছেন স্থানীয় প্রভাবশালী নিবাস চন্দ্র দাস।
ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সুমন আজহার বলেন, লকডাউন পরিস্থিতিতে রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন সকাল ৭ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান পাট খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। ফলে বাজার চলছে বিধিমতেই। তবে অনাকাক্সিখতভাবে লোক সমাগম বেড়ে যায়। খোলা মাঠের অভাবে দুরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে ভাবছি।