যেকোনো নিরাপত্তা ইস্যু ও মিয়ানমারের অযুক্তিযুক্ত দাবি সামনে রেখে সেন্টমার্টিনে বিজিবি
বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের একমাত্র প্রবালদ্বীপ হলো সেন্টমার্টিন। বৃটিশ শাসন থেকে ১৯৩৭ সালে ভারত এবং বার্মা ভাগ করার সময় এটি ভারত অংশে পড়ে। ১৯৪৭ সালে ভারত পাকিস্তান ভাগ হওয়ায় এটি পাকিস্তানে পড়ে। সবশেষ বাংলাদেশ পাকিস্তান ভাগ হয়ে এটি বাংলাদেশের অংশে পড়ে।
১৯৭৪ সালে সেন্টমার্টিনকে আমাদের অংশ ধরেই বাংলাদেশ এবং বার্মার মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে সমুদ্রসীমা নির্ধারণীত হয়। উক্ত প্রবালদ্বীপের নিরাপত্তায় ১৯৯৭ সালের আগে পর্যন্ত তৎকালীন বিডিআর নিয়োজিত ছিলো। তারপরে সেখানে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করা হয় এবং পরবর্তী থেকে কোষ্ট গার্ড নিরাপত্তা প্রদান করে আসছিল।
ভৌগোলিক দিক বিবেচনা করলে সেন্টমার্টির খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জন, পর্যটন,মাদক চোরাচালান বন্ধ সহ যাবতীয় কাজে দ্বীপটি জরুরি। এই দ্বীপটি নাফ নদী থেকে মাত্র ৮ কিঃমি দূরে অবস্থিত। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক যাচ্ছে সেন্টমার্টিনে তাদের জন্য যেকোনো নিরাপত্তা প্রদান জরুরি ছিল।
অপরূপ সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি সেন্টমার্টিন দ্বীপকে ২০১৮ সালে বার্মা নিজেদের বলে দাবি করে। মিয়ানমার তাদের এক মানচিত্রে সেন্টমার্টিনকে নিজেদের হিসেবে প্রদর্শন করে। যদিও পরবর্তীতে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের প্রতিবাদে মিয়ানমার উক্ত মানচিত্র সংশোধন করে নেয়।
যেকোনো নিরাপত্তা ইস্যু ও মিয়ানমারের অযুক্তিযুক্ত দাবি সামনে রেখে দীর্ঘ ২২ বছর পরে ৭ এপ্রিল ২০১৯ সালে সেন্ট মার্টিনে পুনরায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়। অস্থায়ী বিওপির মাধ্যমে কাজ শুরু করলেও বর্তমানে স্থায়ী বিওপি নির্মান করা হয়েছে। যেকোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি অগ্রীম প্রস্তুতি হিসেবে থাকবে এই বাহিনী।
পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জন্য পর্যটন ক্ষাতটি আরও বিকশিত হবে।