ঢাকা, ৩ এপ্রিল ২০২১:
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, এমপি বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে এগিয়ে চলা পর্যটন খাত নিয়ে গবেষণায় যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বাংলাদেশ ট্যুরিজম রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই)।
২ এপ্রিল, ২০২১ দেশের প্রথম ও একমাত্র পর্যটন বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ট্যুরিজম রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই)-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, এমপি আরো বলেন, পর্যটন শিল্পের মাধ্যমে দেশের কাক্সিক্ষত অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব। আমাদের দেশের তরুণরা এখন পর্যটন শিল্পে উদ্যোক্তা হিসেবে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন। দেশের হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, পার্ক, পিকনিক স্পট, ট্যুর অপারেটর কোম্পানী, ট্রাভেল এজেন্সী ছাড়াও পর্যটনের উপখাত গুলোতে তারা উদ্যোক্তা হিসেবে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প নিয়ে যেভাবে গবেষণা হওয়া দরকার ছিলো, সেটা হয়নি। অথচ পর্যটন শিল্পের প্রসার, বিকাশ ও উন্নয়নের জন্য গবেষণা অত্যন্ত জরুরী।
এই ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করতে গড়ে উঠেছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বিটিআরই)। প্রতিষ্ঠানটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর দিনে আমি তাদের অভিনন্দন জানাই। আশা করি, বাংলাদেশ ট্যুরিজম রিসার্চ ইনস্টিটিউট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প নিয়ে গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার মাধ্যমে পর্যটন শিল্পের বিকাশ সাধন, উন্নয়ন এবং একটি পর্যটনবান্ধব জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই জাতীয় পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ণের জন্য দেশি-বিদেশি কনসালট্যান্ট নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এছাড়াও বিভিন্ন পর্যটন স্পটের উন্নয়নে নানা প্রকল্পবাস্তবায়ন করছে সরকার। জাতীয় পর্যটন মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে পর্যটন শিল্প নিয়ে গবেষণার দ্বার উন্মুক্ত হবে। তবে বেসরকারী পর্যায়ে বাংলাদেশ ট্যুরিজম রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি ।
রাজধানীর পশ্চিম পান্থপথে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মো. মোশাররফ হোসেন এবং জাহাঙ্গিরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের প্রতœতত্ত¡ বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই)-এর ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট কাজী রহিম শাহরিয়ার-–এর সভাপতিত্বে এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)-এর প্রথম সহ-সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশি, বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরারস এসোসিয়েশন (বিটিইএ)-এর চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাগর ও ইন্টারন্যাশনাল কালিনারি ইনস্টিটিউট (আইসিআই)-এর পরিচালক (ট্রেনিং) জাহাঙ্গির আলম।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই জাতীয় পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ণের জন্য দেশি-বিদেশি কনসালট্যান্ট নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এছাড়াও বিভিন্ন পর্যটন স্পটের উন্নয়নে নানা প্রকল্পবাস্তবায়ন করছে সরকার। জাতীয় পর্যটন মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে পর্যটন শিল্প নিয়ে গবেষণার দ্বার উন্মুক্ত হবে। তবে বেসরকারী পর্যায়ে বাংলাদেশ ট্যুরিজম রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিটিআরআই-এর নির্বাহী পরিচালক আবু রায়হান সরকার। ফিতা ও কেক কেটে বাংলাদেশ ট্যুরিজম রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই)-এর আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, এমপি।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট ও মাই টিভি’র প্রযোজক (অনুষ্ঠান) কাজী রহিম শাহরিয়ার বলেন, বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্প নিয়ে গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার মাধ্যমে পর্যটন শিল্পের বিকাশ সাধন, উন্নয়ন এবং একটি পর্যটনবান্ধব জাতি গঠন ও দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে ভূমিকা রাখবে বাংলাদেশ ট্যুরিজম রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই)। এ প্রতিষ্ঠান পর্যটন বিষয়ক গবেষণায় বহুবিধ কর্মকান্ড পরিচালনা করবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, মৌলিক গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, সেমিনার-সিম্পোজিয়াম ও পর্যটন মেলার আয়োজন, পর্যটন বিষয়ক জার্ণাল প্রকাশ, বই, লিফলেট, পোষ্টার ও দিনপঞ্জি প্রকাশ, পর্যটন বিষয়ক প্রামাণ্য অনুষ্ঠান, কাহিনী চিত্র ও টেলিফিল্ম নির্মাণ, পর্যটন পদক প্রদান, ট্রাভেল ও ট্যুরিজম বিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনার ও মেলায় অংশগ্রহণ ইত্যাদি।