নিয়মবহির্ভূত কাঁচাপাট মজুদের বিরুদ্ধে অভিযান
ঢাকা, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ :
অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রয়োজনীয় কাঁচাপাট সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির ধারা বেগবান করার লক্ষ্যে নিয়মবহির্ভূত কাঁচাপাট মজুদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে পাট অধিদপ্তর।
আজ পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিঃসচিব) হোসেন আলী খোন্দকার ও নাটোর জেলা প্রশাসনের সহায়তায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে নাটোরের গুরুদাশপুর উপজেলার নাজিরপুর বাজারের বিভিন্ন পাটের গুদামে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। অভিযানকালে ভাই-ভাই ট্রেডার্স গুদামে নিয়মবহির্ভূত মজুদকৃত প্রায় ৫ হাজার মণ কাঁচাপাট আটক করা হয়।
সম্প্রতি, দেশে কাঁচাপাটের সংকট তৈরির কারণে পাটকলসমূহ উৎপাদন ঝুঁকিতে পড়েছে। এ অবস্থায় পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয়ের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য কাঁচাপাটের সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। লাইসেন্সবিহীন অসাধু ব্যবসায়ীগণ, কাঁচাপাটের ডিলার ও আড়ৎদারগণ ১ হাজার মণের বেশি কাঁচাপাট এক মাসের বেশি সময় ধরে মজুদ করতে পারবে না এছাড়াও লাইসেন্সবিহীন কাঁচাপাট ক্রয়-বিক্রয় ও মজুদ হতে বিরত রাখা; ভেজাপাট ক্রয়-বিক্রয় রোধ করা; বাজারে কাঁচাপাটের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য পাট অধিদপ্তর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে ।
এছাড়াও চলতি পাট মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, পাট চাষ নিশ্চিতকরণে বীজ সরবরাহ সঠিক রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। মানসম্মত পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে পাঁচ বছরের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় যৌথ উদ্যোগে একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত পাটবীজ উৎপাদনে স্বনির্ভর হবে। প্রয়োজনীয় পাটবীজ সংগ্রহে আমদানিনির্ভরতা আর থাকবে না। এ পাট মৌসুম থেকে রোডম্যাপ বাস্তবায়ন শুরু হবে। ধাপে ধাপে তা আগামী পাঁচ বছরে শতভাগ বাস্তবায়ন করা হবে। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় উচ্চফলনশীল পাট বীজ উৎপাদনে স্বয়ম্ভরতা অর্জন এবং মানসম্মত পাট উৎপাদনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ ও সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসুচি (এডিপি)-এর আওতায় ‘উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্প চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি দেশের ৪৬টি জেলার ২৩০টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় প্রতি বছর প্রত্যক্ষভাবে ১ লাখ ৫৩ হাজার পাটচাষী ও পরোক্ষভাবে ৬ লাখ ১২ হাজার কৃষক ও পরিবারের সদস্য উপকৃত হচ্ছে।