দেশের পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে: পরিবেশ মন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, দেশের পরিবেশের সুরক্ষায় সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। এজন্য দেশের পরিবেশের উন্নয়নে সরকার সম্ভাব্য সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করবে। যেকোনো মূল্যেই দেশের পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।
আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় পরিবেশ কমিটির নির্বাহী কমিটির ১৫ তম সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জাতীয় পরিবেশ নীতি ২০১৮ এ বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ, পাহাড়, প্রতিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ এবং জীব-নিরাপত্তা, প্রতিবেশবান্ধব পর্যটন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা প্রস্তুতি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবস্থাপনা, অন্যান্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশবান্ধব অর্থনৈতিক উন্নয়ন, টেকসই উৎপাদন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জাতীয় পরিবেশ নীতিতে চিহ্নিত বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাসমূহ তাদের স্ব-স্ব কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
মন্ত্রী বলেন, হাসপাতাল, ক্লিনিকে পরিবেশবান্ধব ইনসিনারেটর, ইটিপি স্থাপন, পলিথিন, সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বন্ধে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। মন্ত্রী জানান, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে ছিদ্রযুক্ত ইট তৈরি এবং বিভিন্ন ধরনের ব্লক উৎপাদন ও ব্যবহার ধাপে ধাপে বাধ্যতামুলক করা হবে। ব্লক ইট তৈরিতে শুল্ক হ্রাস অথবা সরকারি প্রণোদনা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। ব্লক ইটের ব্যবহার বৃদ্ধির কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
পরিবেশ মন্ত্রী জানান, কালো ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্টের পাশাপাশি বিআরটিএ এবং পুলিশ প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া হবে। নিয়মিতভাবে পর্যায়ক্রমে ফিটনেসবিহীন যানবাহন রাস্তা থেকে প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়ার কথাও জানান তিনি।
পাহাড়, প্রতিবেশ সংরক্ষণে অবৈধভাবে পাহাড়কাটা বন্ধকরণ বিষয়ে মন্ত্রী জানান, জাতীয় স্বার্থে পাহাড় কর্তন প্রয়োজন হলে বাধ্যতামূলকভাবে পরিবেশ অধিদপ্তরের নিকট থেকে হিল কাটিং ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান অনুমোদন নিয়ে তদানুসারে পাহাড় কাটতে হবে। পাহাড় কাটার কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট সংস্থা কর্তৃক কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে। মন্ত্রী জানান, পুকুর, ডোবা, খাল-বিল, নদী ও কৃত্রিম ও প্রাকৃতিক জলাধার ভরাট বা শ্রেণি পরিবর্তন করা নিরুৎসাহিত করা হবে। জাতীয় স্বার্থে জলাধার ভরাট করার প্রয়োজন হলে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার আওতাধীন প্রাকৃতিক জলাশয়, পুকুরসমূহ বাধ্যতামূলকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে এবং উন্নয়ন পরিকল্পনায় কোন ভরাট কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে কৃষি মন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী , পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব জিয়াউল হাসান এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার সহ কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।