তুরস্কের দৃষ্টিহীনদের মাঝে বঙ্গবন্ধুকে পরিচিত করতে ত্রিমাত্রিক ভাষ্কর্য তৈরির আগ্রহ ইস্তান্বুলের লায়ন্স ক্লাবের
ইস্তান্বুল (তুরস্ক), ১৮ মার্চ ২০২১ :
বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনস্বরূপ তুরস্কের দৃষ্টিহীনদের সাথে এই মহান নেতাকে পরিচিত করার জন্য বঙ্গবন্ধুর একটি বিশেষ ত্রিমাত্রিক কাঠামো তৈরির আগ্রহ প্রকাশ করেছে তুরস্কের লায়ন্স ক্লাব ইস্তান্বুল।
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয়ে গতকাল ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস ২০২১’ উদযাপনকালে এ আগ্রহের কথা জানায় সংগঠনটির সভাপতি ফেরিত একিঞ্জি। দিবসটি উপলক্ষ্যে কনস্যুলেট জেনারেল লায়ন্স ক্লাব ইস্তান্বুলের সাথে গতকাল যৌথভাবে ‘বঙ্গবন্ধু: আইকন অভ হিউম্যানিটি’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনার আয়োজন করে, যেখানে লায়ন্স ক্লাবের সদস্যগণ অংশগ্রহণ করেন।
কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম সূচনা বক্তব্যে স্বাধীনতার স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। ড. ইসলাম স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে বঙ্গবন্ধুর অনন্য সাধারণ ভূমিকা সম্পর্কে সকলকে অবহিত করেন। মানুষের প্রতি বিশেষ করে সমাজের অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত জনগণের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম ভালবাসা এবং অগাধ স্নেহের কথাও তিনি উল্লেখ করেন। কনসাল জেনারেল বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসহ অন্যান্য সময়োপযোগী উদ্যোগসমূহের কথা তুলে ধরেন।
বঙ্গবন্ধুর অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ও নেতৃত্ব এবং সকলের অংশগ্রহণে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নত সমাজ গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদান সম্পর্কে জানতে পেরে লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি অভিভূত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
বিকালে কনস্যুলেট ইস্তান্বুলে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে কনস্যুলেটের ‘ফ্রেন্ডশিপ’ হলে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে, যেখানে দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। এরপর, বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত বিশেষ ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। শিশুদের উপস্থিতিতে কেক কাটার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
উল্লেখ্য, কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা হয়।