গুলশানের সিসাবার দি মিরাজ ৯.৩৩ কোটি টাকার বিক্রয় তথ্য গোপন করেছে ভ্যাট গোয়েন্দার মামলা
ঢাকা, ৭ ডিসেম্বর ২০২০ :
গুলশানের সিসাবার দি মিরাজ ৯.৩৩ কোটি টাকার বিক্রয় তথ্য গোপন করেছে; ভ্যাট ফাঁকি ২.৫৪ কোটি টাকা; অনুসন্ধানশেষে আজ মামলা করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর।
ভ্যাট গোয়েন্দা রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানের ‘দি মিরাজ’ রেস্টুরেন্ট কাম সিসাবার এর বিরুদ্ধে ২.৫৪ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির তথ্য উদঘাটন করেছে।এই ফাঁকির দায়ে সিসাবারের বিরুদ্ধে আজ মামলা করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা।
ভ্যাট গোয়েন্দার অনুসন্ধান অনুসারে, দি মিরাজ ৯ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকার বিক্রয় তথ্য গোপন করেছে যার মাধ্যমে ১.৩৯ কোটি টাকার মূসক ফাঁকি সংঘটিত হয়েছে।
আজ এই অভিযোগে ঢাকা উত্তর কমিশনারেট এর অধীন নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
ভ্যাট ফাঁকির সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১২ নভেম্বর অভিজাত এলাকা গুলশানের ৩নং সড়কের বাড়ি নং ৯/এ তে অবস্থিত দি মিরাজ সিসাবারে অভিযান পরিচালনা করে ভ্যাট গোয়েন্দার একটি দল।
অভিযানকালে গোয়েন্দারা দেখতে পান যে, রেস্টুরেন্টের আড়ালে তারা সিসাবার পরিচালনা করছে।কোন বৈধ কাগজ দেখাতে না পারায় সিসাবারের প্রাঙ্গন থেকে ১৫ কেজি সিসা এবং সিসা পরিবেশনের নানাসামগ্রী আটক করে।এছাড়া গোয়েন্দারা প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যিক দলিলাদিও জব্দ করে।
প্রতিষ্ঠানটির মূসক নিবন্ধন অনুযায়ী ব্যবসায়িক নাম ‘দি ফ্রেন্ডস হাউস লিঃ’; ভ্যাট নিবন্ধন নং: ০০৩২৬৯০৪৭-০১০১।
উক্ত অভিযানটিতে নেতৃত্ব দেন ভ্যাট গোয়েন্দার উপ-পরিচালক তানভীর আহমেদ এবং সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মহি উদ্দিন।
পরবর্তীতে জব্দকৃত এবং অনুসন্ধানের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য ও দলিলাদির ভিত্তিতে জুলাই/২০১৩ হতে অক্টোবর/২০২০ পর্যন্ত সময়ে শুধুমাত্র বিক্রয়ের উপর ১.৪০ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি উৎঘাটন করা হয়।ভ্যাট আইন অনুসারে, এই ফাকিকৃত ভ্যাটের উপর মাসভিত্তিক ২% হারে ৯৮ লক্ষ টাকা সুদ প্রযোজ্য।
এইসময়ে তথ্য অনুসন্ধানে আরো দেখা যায় যে, সিসাবারটি বিভিন্ন সেবা ক্রয়ের উপর ৮.৪০ লক্ষ টাকা উৎসে ভ্যাট ফাঁকির সাথে জড়িত।এর উপর মাসভিত্তিক ২% হারে সুদ ৭.৮৮ লক্ষ টাকা প্রযোজ্য হবে।
দি মিরাজ প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বিক্রয় এবং উৎসে কর্তন বাবদ সর্বমোট ১.৪৮ কোটি টাকা মূসক ফাঁকি উদঘাটন করা হয়।উক্ত ফাঁকিকৃত মূসক এর উপর সুদ বাবদ মোট ১.০৬ কোটি টাকা প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটি সর্বমোট ২.৫৪ টাকা রাজস্ব ফাঁকির সাথে জড়িত।
আটক সিসা ও সিসাসামগ্রী ক্রয়ের বৈধ উৎস দেখাতে পারেনি সিসাবার কর্তৃপক্ষ।আইন অনুসারে এগুলো রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
অনুসন্ধানশেষে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর আজ দি মিরাজ এর বিরুদ্ধে ২.৫৪ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির মামলা করেছে ।