মুক্ত স্বদেশ ডেস্ক:
মরণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাস লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে পুরো বিশ্বকে। বাংলাদেশও মুক্ত নয় করোনার থাবা থেকে। দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এমন কঠিন সময়ে কেউ বাড়িয়ে দেয় সাহায্যের হাত। চলমান ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় গরীব-অসহায় মানুষের খাদ্যের যোগানে এগিয়ে এলেন নীলফামারী জেলার কৃতি সন্তান তরুণ স্বপ্নবাজ মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রভাবে নীলফামারী জেলার প্রত্যকটি উপজেলায় দীঘ দিনে থেকে কর্মহীন অসহায় গরিব, দুস্থদের মাঝে শাক-সবজি বিতরণ করছেন তরুণ এই স্বপ্নবাজরা। ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে বুধবার সৈয়দপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৩০০-৫০০ পরিবারের মাঝে শাক-সবজি বিতরণ করা হয়েছে। উক্ত কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে তিনি জানান।
এদিকে এই জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমকে স্বাগত জানান ভূক্তভুগি দিন-মজুরা। উক্ত কার্যক্রমে খাদ্য উপকরণ বিতরণ কর্মীরা বলেন কখনো কখনো আমাদের কঠিন সময়ের সম্মুখীন হতে হয়। আজ আমরা এবং আমাদের দেশ কঠিন সময়ের মুখোমুখি দাড়িয়ে আছে। এই কঠিন সময়ে গণমানুষের পাশে দাড়িয়েছেন মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ।
এসময় করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ বলেন, আতস্কিত না হয়ে সতর্ক হওয়ার জরুরী। আপনারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় হ্যান্ডশেক ও আলিঙ্গন থেকে বিরত থাকুন। গণপরিবহন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্তক থাকবেন। ফেসমাস্ক ও স্যানিটাইজার হ্যান্ডওয়াস ব্যবহার করতে ভুলবেন না। আমিও আমার তরুণ স্বপ্নবাজ উদ্যোগ তারা সব সময় আপনাদের পাশে আছে। শুধু আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন। তিনি যেন দেশবাসীকে এই মহামারী করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা করেন।
এসময় বসুন্ধরা কিংসের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ এর কথা হলে তিনি জানান।
আমি বসুন্ধরা কিংসের সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করছি সততার সাথে, বসুন্ধরা কিংসের বিভিন্ন ধরনের কাজ থাকায় আমাকে ঢাকাতে থাকতে হয়। কিন্তুও দেশের এই ক্লান্তিলগ্নে আমার এলাকার গরীব-অসহায়দের কথা চিন্তা করে। মানুষের পাশে এসে দাড়িয়েছি। মানুষের দারে দারে গিয়ে ত্রাণ দিচ্ছি এবং সামনে আরো দিব।
মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ আরো বলেন, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পরা করোনা ভাইরাসে প্রাণ হারাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। করোনা বর্তমান বিশ্বে একটি আতঙ্কের নাম। তবে এমন নয় যে মোকাবেলা করা যাবে না। গোটা মানবজাতি যদি একত্রিত হয়ে এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং নিয়ম কানুন মেনে চলে তাহলে অবশ্যই এ মহামারী মোকাবেলা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, সমাজের বিত্তবানদের উচিত গরিব, দুস্থ ও হতদরিদ্রদের ত্রাণ সামগ্রী দিয়ে পাশে দাঁড়ানো।
এদিকে ত্রাণ পেয়ে এক ভ্যান চালক মজিবর মুখে হাসি ফুটেতে দেখা গেছে। মজিবর বলেন ত্রাণ পেয়ে আমি অনেক খুশি মিনহাজ ভাইয়ের জন্য দোয়া করি আল্লাহ যেন উনাকে নেক হায়াত দান করেন।
শুধু মজিবরেই নয় এমনি খুশি শত শত অসহায় মানুষ তেমনী একজন সৈয়দপুরের চা বিক্রেতা জসিম। জসিম বলেন করোনার কারণে চা বিক্রি করতে পারি না, পরিবার নিয়ে চিন্তিত, মিনহাজ ভাইয়ের মত ভাল মানুষরা আছেন বলে আমরা খাবার পাই এবং বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখি।এছাড়া অনেকের দাবী মিনহাজ ভাইয়ের মত সবাই যাতে আমাদের মত অসহায়দের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।
প্রিয় দেশবাসীর ঊ্দ্দ্যেশে জনাব মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ ভাইয়ের দুটি কথা৷
আমি মন থেকে চাই-আল্লাহ যেনো আমাদের পৃথিবীকে নিষ্পাপ করে দেন। আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি, করোনা পরবর্তী প্রজন্ম যেনো নতুন একটি পৃথিবী দেখতে পারে। আমাদের দেশে ১০ কোটি মানুষ আছে যারা নিজের খাবার নিজে যোগাড় করতে পারবে। আমরা ১০ কোটি মানুষ যদি প্রত্যেকেই একজন অন্যজনকে খাবার শেয়ার করতে পারি তাহলে কেউ ক্ষুদার্ত থাকবে না, না খেয়ে মরবে না।
যদি না পারি এই দেশে আমাদের বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নাই। আল্লাহ আমাদের আরো শাস্তি দিক, কিন্তু পরবর্তী প্রজন্ম সারাবিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে, এটাই আমার দোয়া ছাড়া পৃথিবীর আইডল হবে। দুঃখিত আমি সামান্য সামর্থ্য নিয়ে পাশে দাঁড়াতে গিয়ে বুঝলাম-আসলে কি অবস্থা। প্রাকটিক্যাল অবস্থা থেকে বুঝলাম নিন্মআয়ের দরিদ্র পরিবার গুলো মারাত্মক খাদ্য সংকটে আছে।
এই মূহুর্তে আপনারা প্রত্যেকে যদি দায়িত্ব নিয়ে তাদের পাশে না দাড়ান, তা হলে না খেয়ে অনেক মানুষ মারা যাবে। আপনি সাহায্য করা শুরু করলে আরেকজন উৎসাহিত হবে। আমরা এখন পাশে না দাঁড়ালে জাতি মাফ করবে না, যার যা সামর্থ্য আছে তাই নিয়ে পাশে দাঁড়ান। এক বেলার খাবার কম খান সবাই একজন আরেকজন ক্ষুধার্তকে খাওয়ান সাহস করে যার সামর্থ্য আছে পাশে দাঁড়ান। রুট লেভেলের মানুষের অনেক খারাপ অবস্থা, যা ৭১ সালে যে গল্প শুনছি তার চেয়েও ভয়াবহ অবস্থা বর্তমানে। নিজেকে সেভ করে ঘর থেকে বেড় হোন মৃত্যুর ভয় না করে।
এবং দোয়া করেন সবাই যাতে সমগ্র বাংলাদেশ সেনাবাহিনীরা কন্ট্রোলে নেয় প্রত্যেকটি জেলা, উপজেলা, থানা এবং ইউনিয়নে বেশির ভাগ চেয়ারম্যান, মেম্বাররা সরকারি সাহায্য চুরি করছে। মানুষ এখন সত্যি ক্ষুধার্ত। সকল সামর্থ্যবান ব্যক্তি একজনের দায়িত্ব নিলেই যথেষ্ট নিজ নিজ এলাকায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। আপনারা নিজেদের প্রত্যেক প্রতিবেশীর খোজ খবর রাখলে এই মহামারি করোনায় ঘর বন্দী জীবনে ক্ষুধা থেকে মুক্তি পাবে ইনশাআল্লাহ৷ মানুষের মনুষ্যত্ব দেখানোর এটাই সময়৷ মানুষের মাঝে মনুষ্যত্ব জাগ্রত হলে মানব সভ্যতার জয় হবেই৷ মহান মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের নিশপাপ করবেই৷ জয় হোক মানবতার৷
উল্লেখ্য, মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ। দেশের বিভিন্ন সময় দুর্যোগকালীন মুহূর্তে অসহায় গরিব মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় করোনা ভাইরাসের প্রভাবে যখন দেশের মানুষ ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে এমনই সময়ে তার এলাকায় প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন।