মহিউদ্দিন রানা, (ঈশ্বরগঞ্জ) ময়মনসিংহ:
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ধর্ষকের এক সহযোগিকে গ্রেপ্তার করেছে। ধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতা নারী বাদি হয়ে চার জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা নারী (৪০) ঢাকায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়ায় টঙ্গীতে মেয়ের বাড়িতে অবস্থান শেষে স্বামীর বাড়িতে ফিরছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার ( ১৬ এপ্রিল) সকালে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেও যানবাহন সংকটের কারণে অনেক কষ্টে তাকে যাত্রা করতে হয়। বাড়ি ফেরার পথে নারীটিকে সহযোগিতা করছিলেন শরীফ নামের এক যুবক। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার কিছু পর ওই নারীটি ঈশ্বরগঞ্জের লক্ষ্মীগঞ্জ নামক স্থানে এসে পৌঁছান। কোনো যান না পেয়ে পায়ে হেঁটে যেতে শুরু করলে লক্ষ্মীগঞ্জ বাজার থেকে কিশোরগঞ্জের দিকে যাওয়ার পথে কিছুদূর এগুতেই কয়েকজন ব্যক্তি তাদের গতি রোধ করে। নারীটিকে টেনে হেঁচরে নিয়ে যায় পাশের একটি জঙ্গলে। সেখানে নিয়ে সুজন মিয়া (৪২) নামের এক ব্যক্তি নারীটি ধর্ষণ করে।
সুজন স্থানীয় কুমুড়িয়ারচর গ্রামের ছমেদ আলীর ছেলে। ওই সময় তাকে সহযোগিতা করে মোজাটিয়া গ্রামের শফিক মিয়া, শহীদ মিয়া ও মল্লিকপুর গ্রামের লাল মিয়া। ধর্ষণ শেষে নারীর সাথে থাকা প্রায় ৯ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ওই অবস্থায় নারীটি লক্ষ্মীগঞ্জ বাজারে এসে স্থানীয়দের জানালে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ খবর পান।
তিনি নারীটির বর্ণনা শুনে খবর পাঠান পুলিশকে। ওই ঘটনায় রাতেই নির্যাতিতা নারী বাদি হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় রাতেই পুলিশ অভিযুক্ত শহীদকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার দুপুরে ময়মনসিংহ আদালতে সোপর্দ করে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মো. মোখলেছুর রহমান আকন্দ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে জড়িত এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।