চলতি মাসেই ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির বিশেষ ওএমএস কর্মসূচি ফের চালু হচ্ছে। এবার কর্মহীন শ্রমজীবী মানুষের তালিকা করে শুধু তাদের কাছেই এই ওএমএসের চাল বিক্রি করা হবে। এজন্য তালিকা তৈরির কাজ চলছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ওএমএসসহ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাত ও চুরি হওয়া চাল আটকের পর গত ১৩ এপ্রিল খাদ্য মন্ত্রণালয় এই কর্মসূচি স্থগিত করে।
বুধবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানম বলেন, বিশেষ ওএমএসের কারণে মানুষের ভিড় হত। অনেক মানুষ এক জায়গায় জড়ো হত। সাধারণ শ্রমজীবী, দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, পরিবহন শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, চায়ের দোকানদার, ভিক্ষুক, হিজরা, ভবঘুরে মানুষকে সহায়তার জন্য ওএমএসের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি দরের চাল দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। চালটা সঠিক ব্যক্তির হাতে পৗঁছাতেও হবে।
তিনি বলেন, এ সব সমস্যা সমাধান করে কীভাবে এটি চালু করা যায়, সেই বিষয়ে আমরা কাজ করছি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী যাদের চাল দিতে বলেছেন তাদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। জেলা প্রশাসকদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও খাদ্য বিভাগের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে এই তালিকা করতে বলা হয়েছে। তালিকা করার পর এই তালিকা ধরেই চাল বিক্রি করা হবে।
কবে নাগাদ এই ওএমএস চালু হচ্ছে জানতে চাইল খাদ্য সচিব বলেন, তালিকাটা হয়ে গেলেই চালু করব। খুবই তাড়াতাড়ি শুরু করব আমরা। এ ছাড়া নতুনভাবে করতে সর্বোচ্চ পর্যায়ের অনুমোদনও লাগবে। সেটাও আমরা অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছি।
তিনি বলেন, আশা করছি আগামী সপ্তাহের মধ্যে শুরু করতে পারব। চাল তো আমাদের বরাদ্দ দেয়াই আছে।
বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে সাধারণ ছুটি চলছে। এতে শ্রমজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে গত ২৫ মার্চ জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ওএমএস খাতে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি চালের মূল্য ৩০ টাকার স্থলে ১০ টাকা নির্ধারণ করার ঘোষণা দেন। এর প্রেক্ষিতে অর্থ বিভাগ চালের মূল্য কেজি প্রতি ১০ টাকা নির্ধারণ করে।
গত ৫ ও ৭ এপ্রিল চাল বিক্রিও করা হয়। এর মধ্যেই বিভিন্ন স্থানে এই ওএমএসের চাল কালোবাজারে বিক্রি এবং কযেকটি জায়গায় ওএমএসের চালসহ কয়েকজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরাও পড়ে। এরই প্রেক্ষিতে ১৩ এপ্রিল এ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।